দীপন বিশ্বাস:

 উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মাদারবুনিয়া চাকমাপাড়ায় বিরোধপূর্ণ ২০শতক জমির দখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ি ও বাঙালী সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে আসছিল। পাহাড়ী চাকম্রাা দাবী করে এ জমির দখল তাদের। আবার স্থানীয় বাঙলী সম্প্রদায় দাবী করে এই জমি তাদের দখলীয়। এনিয়ে উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এমনকি উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে জমির দখলকে কেন্দ্র করে বেশ ক’বার দা-লাঠি-সোটা নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছিল। যে কোন মূহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকায় ছিল স্থানীয় এলাকাবাসি। মূলতপক্ষে জমিটির মালিক স্থানীয় বনবিভাগ। দীর্ঘদিন ধরে উভয় সম্প্রদায়ের লোকজন এসব বনবিভাগের জমিতে অবৈধভাবে চাষাবাদ করে আসছিল।

মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রশাসন বিরোধপূর্ণ জমিতে ১৪৪ধারা জারী করে বনবিভাগকে জমির দখল বুঝিয়ে দেয়।

স্থানীয় এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ আগষ্ট বিরোধীয় এই ২০শতক জমির দখলকে কেন্দ্র করে পাহাড়ী চাকমা ও বাঙালী সম্প্রদায় দা, লাঠি-সোটা নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানের খবর শুনে উখিয়া সহকারী কমিশনার ভূমি একরামুল ছিদ্দিক পুলিশ ফোর্স সাথে নিয়ে ঘটনা স্থলে ছুটে যান। প্রশাসনের উপস্থিতিতে সেদিন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ থেকে রেহাই পায় উভয় সম্প্রদায়।

এ প্রসঙ্গে উখিয়া সহকারী কমিশনার ভূমি একরামুল ছিদ্দিক জানিয়েছেন, বিরোধপূর্ণ জমিটি বনবিভাগের। এখানে উভয় সম্প্রদায়ের কেউ বৈধ মালিক নন। তাই দু’সম্প্রদায়ের লোকজনদের নিয়ে বসে স্থানীয়ভাবে এর বিরোধ নিষ্পত্তি করি। নয়তো ভয়াবহ সংঘর্ষের আশংকা ছিল।

স্থানীয় লোকজন জানান, প্রশাসনের সেদিনের নিষ্পত্তির পরও উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে নিষ্পত্তি প্রশমিত হয়নি। ক্ষোভের দানা বাধে মনে মনে। প্রশাসন বিষয়টি আচ করতে পেরে গত ৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে উখিয়া সহকারী কমিশনার ভূমির নেতৃত্বে একদল পুলিশ ফোর্স ও বনবিভাগের লোকবল গিয়ে বিরোধপূর্ণ ২০শতক জমিতে ১৪৪ধারা জারী করে লাল পতাকা উড়িয়ে দেন। পরে বিরোধপূর্ণ এ জমির দখল স্থানীয় বনবিভাগকে বুঝিয়ে দেয়া হয়।